এদেশে গণতন্ত্রের বারোটা বাজাইছে হুজুররা। দেশের অর্থনীতি ও কুটনীতির তেরোটাও হুজুররা বাজাইছে। এখানেই শেষ না তারা ক্রিকেট নোংরামি ছড়াইছে, ছেলেদের ফুটবলেরও বারোটা বাজাইছে, তবে তারা মেয়েদের ফুটবলটা মারতে পারে নাই। তাইতো মেয়েরা সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ’’মেয়েদের দিয়া হুজুরদের পাছায় ফুটবল মারার’’ কার্টুন দিয়া উল্টো হুজুরদের হোগা মারছো বলে বুঝাতে চাও!
আচ্ছা তোমাদের এতো ক্যানো হুজুর
বিদ্বেষ?
তুমি হুজুর নীতিতে বিশ্বাস করো না! তবে জেনে রাখ তুমি জারজ।
কেননা যেখানে হুজুর সহ্য করতে পারো না সেখানে হুজুর তোমার মা-বাপের বিয়ে পড়াইছে যে, তাতো সঠিক হওয়ার কথা না। যদি তাই হয় তবে তুমি নিঃসন্দেহে জারজ।
আর হ্যাঁ,
তোমাদের মত জারজদের দিয়ে যেকোনো নোংরা কাজই সম্ভব।
ওহে, তোমাদের পরিণতিটা ওলীদ বিন মুগীরার জীবন থেকে জেনে নাও। আর হ্যাঁ, তোমরা যারা হুজুরদের পোশাক নিয়া নোংরামি করো, একটু খোঁজ নিয়ে তোমার জারজ হওয়ার তথ্যটাও শিউর হয়ে নিও।
ওলীদ ইবনে মুগীরা একবার রাসুূল
(সাঃ) এর সাথে বেয়াদবি করেছিল এবং রাসূল (সাঃ) কে পাগল বলেছিল। --- (নাউযুবিল্লাহ)
তার এই বেয়াদবির কারনে নবীজি খুবই কষ্ট পেয়েছিলেন। এতে দয়াময় আল্লাহর গজবের সাগর উথলিয়ে
উঠলো এবং আল্লাহ 'সূরা আল-ক্বলম' (৮-১৩ আয়াত) নাযিল করলেন।
ইরশাদ হলোঃ
১। সে মিথ্যা শপথ কারী,
২। মর্যাদাহীন(গাঁয়ে মানে না
আপনি মোড়ল),
৩। নিন্দুক (গীবতকারী),
৪। চোগলখোর,
৫। সৎকাজে বাধা দানকারী,
৬। জালেম (সীমালংঘনকারী),
৭। চরম পাপিষ্ঠ( ঝগড়াটে),
৮। পাষান হৃদয়,
৯। সর্বোপরি জারজ সন্তান।''
ওলীদ ইবনে মুগীরা এ আয়াত শুনে
তার মায়ের কাছে গিয়ে বললো- মুহাম্মদ (ﷺ) আমার নয়টি দোষ বর্ণনা করেছে যার আটটি সম্পর্কে
আমি সম্যক অবগত। বস্তুতপক্ষে, ঐ
সকল দোষ আমার মধ্যে রয়েছে, তবে জারজ
সন্তান কিনা, এ দোষের ব্যাপারে একমাত্র
তুমিই বলতে পার। সত্যি সত্যি বল, আমি
জারজ সন্তান কিনা? অন্যথায় তোমার
গর্দান দু'টুকরা করে ফেলবো, মুহাম্মদে (ﷺ) এর কথা কখনো মিথ্যা হয়না। তদুত্তরে ওর মা বললো, তিনি একদম ঠিক বলেছেন, তুমি ঠিকই জারজ সন্তান।
তোমার বাপ ছিল পুরুষত্বহীন, কিন্তু অনেক সম্পদের অধিকারী। আমি মনে করলাম যে, আমার কোন সন্তান না হলে ধন- সম্পদ অন্যরা নিয়ে যাবে। সেজন্য
এক রাখালের সাথে যিনা করেছিলাম, তুমি
তারই ঔরসজাত (সন্তান)।
Comments